নারায়ণগঞ্জের আলো ২৪.কম :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর আকবরনগর গ্রামের দুই চিরশত্রু সামেদ আলী ও আব্দুর রহিম হাজ্বীর মধ্যে ভুঁড়িভোজের আয়োজনের মাধ্যমে চির শত্রুুতার অবসান ঘটেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় সামেদ আলীর বাড়িতে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেনের উপস্থিতিতে আপোষ মীমাংসার বৈঠকে সমস্যার সমাধান করা হয়।
ফতুল্ল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী মোঃ শওকত আলী, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন প্রধান,জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন,সামেদ আলী,রহিম হাজ্বী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আতাউর রহমান প্রধান, মনির হোসেন মেম্বার, আকিলউদ্দিন মেম্বার, আমজাদ হোসেন মেম্বার, ওমর ফারুক মেম্বার, জাহাঙ্গীর হোসেন মেম্বার, ফুল চাঁন মাদবর,মন্নাফ দেওয়ান,যুবলীগ নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন, আক্তারুজ্জামান, আনোয়ার আলী, জুয়েল ফকির, খোরশেদ আলম খুশু, আরব আলী প্রমুখ।
বৈঠকে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজ্বী শওকত আলী বলেন,যেহেতু দুই পক্ষ মিলে গেছে। আদালত ও পুলিশকে টাকা না দিয়ে যার যার মামলা সে তুলে নিবে।রহিম ও সামেদ শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সাধারণ মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা ঘরে ঘুমাতে পারেনি তারা যেন ঘুমাতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। ২/৪ জন আছে তারা চাইবে শান্তি বিনষ্ট করতে। আবার যদি দুই হাজ্বী মারামারি করে আমরা দুই পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। কাশেম আলীকে ফাঁসি দিয়েছে শেখ হাসিনা। কাশেম আলী স্ত্রী, ছেলে মেয়ে ও হাজার হাজার কোটি টাকা রেখে গেছে। তারা কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আকবরনগরেও তাই হচ্ছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম বলেন,আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মারামারি বন্ধ করতে হবে। সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মামলা তুলে নিতে পুলিশকে সবধরনের সহযোগিতা করার আহবান জানান।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন বলেন,আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছি। কে কি বললো এটাকে গুরুত্ব না দিয়ে মহিলাদের মুখ গুলো ঠিক রাখতে হবে। তারা একজন আরেকজনকে সহ্য করতে পারেনা। যার যার কাজ সে করবে। মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুই গ্রুপ পাজি আছে। এদের কাছে লাঠি সোটা আছে। এগুলোও উদ্ধার করতে হবে। দুই পক্ষ আপোষে নরম হয়েছে। সহনশীল হতে হবে মহিলাদের বেশী করে। আইন শৃংখলা বজায় রাখতে যা যা করনীয় তাই করবো।